স্বদেশ ডেস্ক:
সেপ্টেম্বরে ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা ৩৬৫ জনে পৌঁছেছে। রাজধানীর চেয়ে দ্বিগুণের বেশি রোগী শনাক্ত হচ্ছে গ্রামে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১৫ জনের প্রাণহানি হয়েছে । চলতি বছরে এ পর্যন্ত ডেঙ্গু জ্বরে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯৫৮ জনে। এর মধ্যে নারী ৫৪৪ জন এবং পুরুষ ৪১৪ জন মারা গেছেন। মোট মৃত্যুর মধ্যে ঢাকার বাইরে মারা গেছেন ৩৩৪ জন এবং রাজধানীতে ৬২৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ৯৫০ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
আজ সারা দেশের পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের নিয়মিত ডেঙ্গু বিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ২ হাজার ৯৫০ জনের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৭২৬ জন এবং ঢাকার বাইরে ২ হাজার ২৫০ জন। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২ হাজার ৯৫০ জনসহ বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে সর্বমোট ভর্তি থাকা ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৯৬৭ জনে। ঢাকার বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৩ হাজার ৫৩৮ জন এবং ঢাকার বাইরে ৬ হাজার ৪২৯ জন। চলতি বছরের এ পর্যন্ত ১ লাখ ৯৬ হাজার ৮৩১ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।এর মধ্যে রাজধানীতে ৮১ হাজার ২১৬ জন এবং ঢাকার বাইরে ১ লাখ ১৫ হাজার ৬১৫ জন। ভর্তি রোগীর মধ্যে পুরুষ আক্রান্ত ১ লাখ ১৯ হাজার ৭৯৫ জন এবং নারী ৭৭ হাজার ৩৬ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ লাখ ৮৫ হাজার ৯০৬ জন।
অধিদপ্তরের তথ্য মতে, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫৬৬ জন এবং মারা গেছেন ৬ জন, ফেব্রুয়ারিতে আক্রান্ত ১৬৬ জন এবং মারা গেছেন ৩ জন, মার্চে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১১১ জন এবং এপ্রিলে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৪৩ জন এবং মারা গেছেন ২ জন। মে মাসে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ৩৬ জন এবং মারা গেছেন ২ জন। জুন মাসে ৫ হাজার ৯৫৬ জন এবং মারা গেছেন ৩৪ জন। জুলাই মাসে শনাক্ত ৪৩ হাজার ৮৫৪ জন এবং মারা গেছেন ২০৪ জন। আগস্ট শনাক্ত ৭১ হাজার ৯৭৬ জন এবং মৃত্যু ৩৪২ জন। সেপ্টেম্বরের ২৭ দিনে শনাক্ত ৭৩ হাজার ২৩ জন এবং মারা গেছেন ৩৬৫ জন। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা আরও বেশি হবে। কারণ অনেক ডেঙ্গু রোগী বাসায় থেকে চিকিৎসা নেন, তাদের হিসাব স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের খাতায় নেই।